আল্লাহ তা'আলা মানুষের হেদায়েতের জন্য যুগে যুগে নবী-রাসূল পাঠিয়েছেন। তারা নিজেরা আল্লাহর হুকুম পালন করে মানুষদের হাতে কলমে শিক্ষা দিতেন। তারা ছিলেন মানুষের মহান আদর্শ শিক্ষক। নবী-রাসূলগণ উত্তম চরিত্রের অধিকারী। তাঁরা ছিলেন সত্যবাদী, নির্লোভ ও নিষ্পাপ। তাঁরা ছিলেন দয়ালু ও মানব দরদী। তাঁরা আজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছেন। তাঁরা আল্লাহ তাআলার দ্বীন প্রচারে সীমাহীন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। পৃথিবীতে অনেক নবী-রাসূল এসেছেন। তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম নবী হযরত আদম আলাইহিস সালাম আর সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
আমাদের প্রত্যেক মুসলমানের জানা জরুরী যে মহানবী মুহাম্মদ সঃ এর জীবনী বা জীবনাদর্শ কেমন ছিল
জীবনাদর্শ বা জীবনীঃ-
মহানবী সাঃ এর জন্মের সময় আরবের লোকেরা নানা পাপের কাজে লিপ্ত ছিল। মারামারি, কাটাকাটি, ঝগড়া-বিবাদ, যুদ্ধ-বিগ্রহ, চুরি, ডাকাতি, হত্যা, লুণ্ঠন, মদ-জুয়া ইত্যাদি নিয়েই তারা মেতেছিল। এক আল্লাহকে ভুলে তারা নানা দেব-দেবীর মূর্তি বানিয়ে পূজা করত। পবিত্র কাবা তারা মূর্তিতে ভরে রেখেছিল। কাবা প্রাঙ্গণে তারা ৩৬০ টি মূর্তি স্থাপন করেছিল। তখন বাজারে পণ্যের মত মানুষ বেচা কেনা হতো। মনিবরা দাস- দাসীদের প্রতি অমানবিক নির্যাতন করতো। পরিবারে ও সমাজে নারীদের কোন মান সম্মান বা অধিকার ছিলনা। সে সময় কন্যা শিশু জন্ম গ্রহণ করা পিতামাতার জন্য খুবই অপমানের বিষয় ছিল। মেয়ে শিশুদের নিষ্ঠুর ভাবে জীবন্ত মাটিতে পুঁতে রাখা হতো। তাদের আচার-আচরণ ছিল বর্বর ও মানবতাবিরোধী। এই সময় মানুষের জানমালের কোন নিরাপত্তা ছিলনা। মদপান, জুয়াখেলা, সুদ, ব্যভিচার ছিল তখনকার লোকদের নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। কুসংস্কার ও পাপ পঙ্কিলতা অতল তলে নিমজ্জিত ছিল তারা। এ সময়কে বলা হয় আইয়ামে জাহিলিয়া বা মূর্খতা যুগ। মানবতার চরম দুর্দিনে আল্লাহতায়ালা তাঁর বন্ধু সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে পাঠালেন বিশ্ব মানবতার শান্তি দূত হিসেবে। মানুষকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য।
1 Comments
Good
ReplyDelete